ফাগুনের একটি দিনযেদিন আমার ভালোবাসা বিসর্জন।ঐ মেয়েটি একটি বদ উদাহরনযার জন্য আমি ফুল আর কবিতাজমা রাখি অসংখ্য এবং প্রদান করি।ও মনে রাখে না আমার টিপসশুধু মাঝে মাঝে সাজগোজ করেভুলাত আমায় তা যেন খেয়ালসাময়িক সে হয়ে উঠতো অনন্যা।
‘সত্যিই আমি একজন ভাষা শহীদের স্ত্রী! আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা আমার স্বামীর অবদান!’ এসব ভেবে রাবেয়ার বুকটা গর্বে ফুলে ওঠে। কিন্তু সাথে সাথে সেই ভাবটা বিলীন হয়ে যায় এই ভেবে যে, তার স্বামী সহ যত ভাষাপ্রেমিক তাদের মাতৃভাষা বাংলার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আজ অনেকাংশেই অবহেলিত। রাবেয়ার বয়স ৮০ …
কাগজ কলম নিয়েবসে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা ।কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও লিখতে পারিনাদু’লাইন কবিতা ।কখনো খানিকটা লিখলেওকবিদের সভায় নিতান্তই হাস্যকর হবে ভেবে ,দলা পাকিয়ে ফেলে দেই ওটা ।দিস্তার পর দিস্তা কাগজ আরডজন ডজন কলম শেষ করেঠোঁটে …
“মার্চ ২০১৭” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মার্চ, ২০১৭ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
আমি দুই হাজার ষোলতে এসেকেন উনিশশো একাত্তরেই ফিরে যাইআমি মার্চের খেলা যুদ্ধ শুরুরকেন ষোলই ডিসেম্বরের সুখ পাই?আমি যুদ্ধে তার সন্তান বিসর্জনেআজো বাউলের চোখে জল দেখি,খুনি দেশের সাথে খেলা যুদ্ধ এলেআগুন জ্বলে সে চোখে ধিকি ধিকি,সপ্নের ব্যাটে বলে …
স্বরণে আছে আজো, প্রেমে ডুবে আমি কিছু করিয়াছিলাম অর্জন;মূহুর্তেই সব জলাঞ্জলি দিয়ে করিয়াছি বিসর্জন।মনে পরে আজো এই চৈত্রের প্রহরে, সেদিনও ছিল চৈত্র মাস;আজি আমি করিতাছি এহন' আমার স্বপ্ন ধরণীতে বাস।অঘর নিদ্রাই ভাবিতেছিলুম সেই রুপকণ্ঠীনির কথা,আজো মনে পরে তার তীব্র কণ্ঠ; …
তুলে ধরি যাপন । অন্য কোন পরিত্রান নেই ।সাম্যতা কি কোনদিন হয় । হয়েছিল । দাঁতে দাঁতে চেপেসংসার নামের এক অজর মানবী চেয়েছিল নিরুদ্বেগ ।তার দুধে ভাতে আজ মাছি হয়ে বসি । চেটে চেটেতুলি পরিত্রান । যাপনের মেধ ও মল্লার । …
নব বসন্তে আজি,বিকশিত পত্ররাজি,গুঞ্জরিয়া দলে দলে, আসে মধুকর।ফাল্গুনে ফুল বনে,রং লাগে যৌবনে,প্রজাপতি উড়ে বসে, ফুলের উপর।এলো বসন্ত আজি,নদীকূলে নেই মাঝি,অজয় নদী বয়ে চলে কলকল করে।আম, কাঁঠালের শাখে,বসন্তে কোকিল ডাকে,পথের বাঁকে, গরুবাছুর …
অস্তাচলের সূর্যটা পানকৌড়ির শেষডুব দেখেহস্তরেখার মত পথেও নামায় ঘোলাটে আঁধার,দীর্ঘশ্বাস নিজেও যখন ফেলে আরেকটি দীর্ঘশ্বাস,ফিসফাস জলের কলতানও হয়ে উঠে বেশ নির্ভার! ছুটন্ত ব্যকুলতা যেন মেপে মেপে ফেলে পদক্ষেপপেছন থেকে আগামীর কুয়াশা ধরে ফেলে পদযুগল, একটা মায়াডালে অবসন্ন পাখি …
আজকে আমরা ঘৃণা করতে ভুলে গেছি, পাপকে ঘৃণা , অন্যায়কে ঘৃণা , মিথ্যাকে ঘৃনা. নোংরামি কে ঘৃণা , আমাদের জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাঁড়াতে হলে ঘৃণা করতে শিখতে হবে। যখনই আমরা এইসব প্রকৃতঅর্থে ঘৃণা করতে পারব তখনই দেশ মুক্ত হবে নৈরাজ্য থেকে। …
“জানেন? প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা আমাদের গলিতে একটা লোক হটপেটিস বিক্রি করতে আসতো।” আমার সামনে যে মেয়েটা বসে আছে, সে প্রায় ঘন্টাখানেক এর নীরবতার পর এই কথাটি বললো। আমি খুব মনযোগ দিয়ে কাজ করছিলাম। মেয়েটিও কিছু একটা বই-টই পড়ছিলো, মাঝখানে আমার জন্য এক কাপ চা ঢেলে দিয়েছে কিন্তু কোন কথা …
রাতে লম্ফতে সলতে চোখে অধমরা প্রানে সপ্তমী একেঁছিলে।তুমি অভয়া,মহালয়ার আগমনী সুর বেঁধে,কোল ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা ছিলকন্যাভ্রূণ নষ্ট করতে দেবো না।কোন এক বাতিঘরে বিসর্জনের বিজয়া আলিঙ্গণ।অজস্র পাপের চ্যালাচামুণ্ডা স্বপ্নভঙের মেঘ বিপদ্গামীর আস্তাবলে গড়াগড়ি যায়।
প্রিয়তমেষু, তোমার আমার অর্ধেক রূপকথা যে আজীবন অসমাপ্ত থেকে যাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। অনেক অনেক দিন আগের কথা নয়.. আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমাদের গল্পের সূচনা। ভালোবাসার গল্পেও সেই অর্ধেক রূপকথা আছে এখনো.. আমিই লিখেছিলাম। তখনও জানতাম না, তোমার কাছে এই রূপকথার অস্তিত্বই নেই। বছরখানেক হলো তুমি …
দ্বিধাগ্রস্ত মন চিনতে পারে কি নিজ সত্তা! এইতো আছি বেশ ...হাট করে খোলা দরোজা অচেনা বকুলের চেনা ঘ্রাণে বাতাস আসা-যাওয়ার জানালার শার্শিতে বন্দী দৃষ্টি দেহ নামক শখের রঙিন খাঁচায় আটকে আছি-- শত শত চাপা আর্তনাদ, …
বন্ধু আমার মনের খাচায় বাধলো নারে ঘর,পোষা প্রাণীর মতো সেও হইয়া গেল পর। সাত বছরের ভালোবাসা হৃদয় থেকে ছিড়ে,পাষান বন্ধু সেই যে গেলোআসলো না আর ফিরে।জীবন নদীর বুকে এখন বইছে কঠিন ঝড়। চলার …
দেমাগে মন ভরি মোরমাটিতে না পড়ে চরণঅবহেলা অবজ্ঞা ভরিউদ্ধত করি আচরন।মানুষের তরে মানুষসবি একসাথে বসবাসউঁচু-নিঁচু ভেদাভেদ ওরেকেনরে শ্রেনিবিন্যাস।শরীর ছাড়লে আত্মামাটি করবে অর্জনকিসের তরে এত ঈর্ষাএসো করি …
আমি প্রেম থেকে ফিরে এসেআবার প্রেমে পরে যাই,দু দিকের দু রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে স্থির হয়ে যাই । আমি একমুখী রাস্তায় যেতে চাই।কোন স্মৃতি আমাকে হাতড়ায় পিছনের পথে টেনে নেয়,নতুন উদ্যমে সামনে চললেও সেখানেও বাধা হয়ে দাড়ায় ।
নিজের সলতে আগুন দেয়া যায় কিন্তু বাতাস থামাবে কিভাবে? আকাশের মেঘ হয়তো ভেসে যাবে হৃদয়ের বৃষ্টি তো তোমার চোখে! সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসবেই তোমার আইন সেখানে অচল তেল ছাড়াও জ্বলা যায়! সূর্যের আলো নেভানো যায় না।
যদি বল মরে যাব, তবু বলবেনা তোমায়, যেতে ভুলেভাল যদি নাই লাগে আমায় বল, যাবো অনেক দূরে চলেআমি সেই সব লোকেদের মতো নই, নই তাদের দলেভাল না বাসতে প্রেয়সী, দেয় তার মুখে এসিড ঢেলে।যদি! তুমি ভাল না বাস ক্ষতি নেই, …
‘ভাই তোমারে আবার কবে যাতি হবে?’নানীর ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম। আমার আপন নানী নয়। চাচীর মা, সেই সম্পর্কের নানী। অনেক দিন বাদে গ্রামে এসেছি। বছরের একবারের বেশী গ্রামের বাড়ি আসা হয় না আজকাল। অফিস থেকে যে কদিন ছুটি ছাটা মেলে তাতে নিজের বাড়ি আসতে যেতেই শেষ। আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে …
আবার ফিরে এলো যে বসন্ত, এলো বৈশাখ।এলো নতুন দিন।সেই সাথে মনে পড়লো কত স্মৃতি, কত কথা,কত না পাওয়ার অপূর্ণ প্রাপ্তি বিরহ,বেদনা।আজ সময় এসেছে গো বিদায় নেবার পালা!হে বন্ধু, তোমার দু'চোখে অনেক অশ্রু ঝরিয়েছি।গত দিনে তোমায় দিয়েছি যে কত …
"১ম পরিচ্ছেদ" -খোলা আকাশ মেঘে ঢাকা পরেছে, এখন আর আকাশ টি নীল নেই। যেন রঙ তুলি দিয়ে আঁকা কোন ছবি। প্রায় ঘন্টা তিন-এক হল "হীরক" বসে আছে সেই ছোট্ট ব্রিজ টির ওপরে, কি যেন ভাবছে সে।পাশে বসে ওর বেস্ট ফ্রেন্ড "চৈতী"।কি হল কিছু বল? …
আজি বসন্তের এ পড়ন্ত বিকালেএ হৃদয় মন মানবী ঘ্রাণে ভরে গেছেশিমুলের চূড়া ভরে উঠেছে রক্ত কবরীতেপ্রেয়সী মোর,প্রেমের পূজারী আমিহৃদয় মনন,অনল দহনে বাষ্পিতফাগুণের আগুনে ওষ্ঠের স্পর্শেথর থর কম্পন হৃদয় আবরনেহে মায়াবী,তুমি এসেছিলে তিমির রজনীতেজোৎসনা ভরা আম্র কাননেগুল্মের …
পশ্চিমে গেছ?ওই যে যেখানে রক্তিম সূর্যটা জ্বলতে জ্বলতে, পুড়তে পুড়তেকোনো এক শীতল স্রোতের কোলে বিসর্জন দেয় নিজেকে।কেন সে বারবার বারবার পোড়ে, প্রতিদিন সাজায় বিসর্জনের নিদাঘ মঞ্চ?সে সব জানতে আমি একদিন গিয়েছিলাম একা,রাগী, ক্লান্ত অথচ সৌম দর্শন প্রশান্ত এক পুরুষের …
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেতে চেয়েছিলে,পাহাড়চূড়ায় জমে থাকা শুভ্র বরফের অটল গাম্ভীর্যের মাঝে;দিগন্ত রেখায় ছুঁয়ে থাকা নিষ্পাপ মেঘের ভীরু লাজনম্র স্পর্শের শিহরণ।তুমিও সাক্ষী হতে চেয়েছিলে তাদের একান্তে কাটানো মোহাবিষ্ট সময়গুলোর।প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলে প্রাণদায়ী শীতল বায়ুতেফুসফুসের অলিতে গলিতে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলে …
নকশী কাঁথা উড়ন্ত বিকেলখোঁপা খুলে বেরিয়ে আসা চুলসেফটিপিনে আঁচলজলসাঘর নাচের শহরসেতারে মন্ত্রমুগ্ধ প্রহরদূরবর্তী কোনও নগরে বসে
এই যে বাবার পদযুগল, বহুকাল আমার নয়ন জোড়া তা দর্শন করেনি, একটুখানি শীতলহাতে তা স্পর্শও করেনি ৷ তখনকার কথা মনে পড়ল, যে সময়টায় আমি কৈশোরের যাত্রী আর বাবা যৌবনের তীর থেকে বিদায়ী মুসাফির ৷ পা দুটো থাকত তার কাদামাখা ৷ ক্ষেতে খামারে লেগে থাকত সারাদিন, কাদা বালি পায়ের গোড়ালিদুটোকে …
শুনতে হয়ত লাগবে খারাপবুঝতে তবে লাগবে অভিশাপএক নিদারুণ বিসর্জনের গল্পেকরে ফেলেছিলাম কি আমি খুব পাপ।ঘটনার শুরুটা ছিল স্বাভাবিকতখন আমার নিশানা ছিল ঠিক,তীর ছুড়তাম পেশাদার রূপেআঘাত করে গেল একদিন যে খাপে খাপে।মেয়েটি ছিল মধ্যবিত্ত সাধারণস্বপ্ন কিন্তু ছিল তার অসীম,আমার সাথে মিলিয়েছিল …
নিটোল দেহের জোছনার মত ফুটফুটে হরিণীকে ঘিরে এক দল হায়েনা...... এক মুহূর্তের জন্যেও হার মানি নি, অসহায়ত্বে নিজেকে বিলিয়ে দেয়নি, প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলাম প্রতিরোধ করতে, দাঁত নখ দিয়ে আঘাত করেছি বার বার- কিন্তু পশুর হিংস্রতার কাছে হেরে গেছে আমার দুর্বল প্রতিরোধ। নিশ্চয় পরেরদিন …
জীবন গতিময় এবং এই গতি স্বভাবতই এক অনন্য গন্তব্য প্ৰত্যাশী। গতিকে প্ৰবহমান ৱেখে প্ৰাৰ্থিত্ব গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে শুরুতেই সুনিৰ্দিষ্টভাবে স্হিৱ কৱে নিতে হয় জীবনেৱ লক্ষ্য, না হয় পদে পদে ব্যাহত হয় জীবনেৱ গতি-আৱ শেষে নৈৱাজ্য পীড়িত ব্যৰ্থতায় ভৱা এক জীবন নিয়ে মধুময় এই ধৱণী থেকে বেদনাদায়ক বিদায় নিতে …
আমি দেখিনি স্বচক্ষেঐ অবিনশ্বরকে কখনো ;তবে আমি তোকে দেখেছি মা, আর তাতেই আমার পূর্ন হয়েছেপ্রভুকে দেখার অতৃপ্ত অভিলাষ ।মা তুই আমার চোখে প্রভুরই প্রতিচ্ছবি,পৃথিবীতে মা তুই ছাড়া কাউকে দেখিনি আমার জন্য এতটা আত্মবিসর্জন দিতে,কখনো কাউকে …