এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই অথবা উপেক্ষণীয় সম্পাদনা সহকারে প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।
শীতে কাঁপন ধরছে,জুতা পায়ে নাই দগদ্গা ঘা হইছে মাইলের পর মাইল চিটা পেট লইয়া এক একটা পিশাচরে ধইরা ধইরা মাডির পেডে ঢুকাইয়া দিছি। শিকল দিয়া বাইন্দা আমার মায়ের- ফলত বাগানে চোখ ফালাইল! জিব্বা দিয়া লালা ফালাইছে বইলা আঙ্গুল দিয়া চোখ উপড়াইয়া ফেলছি জিব্বা টাইনা ছিঁইড়া,মায়ের শিকল খুইলা মুক্তি আইনা দিছি!
কিন্তুক আইজ... মুক্তিযুদ্ধ তোমাগ কাছে এট্টা ইতিহাস কিন্তুক এই মোর কাছে,মোর কাছে জ্বলন্ত আগুন ! জ্বলজ্বলা সইলতার নাহান এহনো পুইড়া মারে দগদগা ঘা মোর বুহের মধ্যিখানে । হেইদিন যখন হুয়ারের পাল পিঁপড়ার নাহান, সারিসারি দল বাইন্দা মোর ঘরে হানছিল- সামনে তহন পথ দেহাইয়া লইয়া আইল রহমত আলীর হগুনের চউখ !
আমার দশ বছরের মাইয়াডারে নিয়া আদিম খেলায় উডছিলো খেকুরের রব সাদা টুপিহান খুইল্লা পকেটে রাখছিলো লোভিষ্ট ঐ পিশাইচ্চার প্রাণ । দাউদাউ কইরা জইল্লা যায় ঘর পাঁচ বছরের পোলার হয় জিন্দা কবর যে মাটিরে আজ দেহো তুমি হবুজ আমি দেহি মোর জানের রক্ত দখল!
এহনও চিক্কর পারে মাইয়া "বাজান গো... মোরে মুক্তি আইন্না দাও গো বাজান”!" আসমানে অহনো হকুনের পাল পাখনা ঝাঁপটায় মাডিতে দেখি টকটকা রক্তের নিশান... । আমার মাইরে নিয়া যে তামসা করে তারে আমি ধ্বংস করি! কিন্তু তোমরা!? ক্যামনে বুঝাই,এইডা আমগো জন্মতরী এইডা কেবলই তোমার আমার শেষ আশ্রয় বসতজমি।
আমার দুক্কু কেডায় বুঝব? তুমি বুঝবা? এই তুমি...? নাহ...আইজ গো পাঁচচল্লিশ বছরেও খাঁ খাঁ মন এট্টু ফোঁটা প্রেম জাগাইতে পারে নায়- জননীরে অবহেলার এত খামতি ক্যান কইতে পারো?!
ঘুম আহেনা কাডেনা রাইত বিরেত
আও...তোমরা বোমাডারে নিয়া ক্ষ্যান্ত কর
ক্ষ্যান্ত কর মোর অনাকাঙ্ক্ষিত,অপূর্ণ কাজ।ভাল লাগল।আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।