এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই অথবা উপেক্ষণীয় সম্পাদনা সহকারে প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।
কত কাল, কত তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে আজকে আমি আবার বাংলার বুকে। বাংলার সবুজ ঘাসের উপর শুয়ে আছি। উপরের নীল আকাশে, একটি, দুটি, তিনটি মেঘের ছন্দহীন চলাফেরা, সময় যেন থমকে গিয়েছে। হঠাৎ রাত নেমে এলো, জ্যোৎস্না রাত। চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় ভরা জ্যোৎস্না রাত। একটি, দুটি, তিনটি এরকম অজস্র তারার মিটিমিটি আলোয় জ্বলা জ্যোৎস্না রাত। দূর থেকে ভেসে আসছে এক অচেনা কারোর বাঁশির সুর। সে এক অপার্থিব সুর। আমার অন্তরের গভীর থেকে গভীরতর জায়গা দিয়ে সে সুর নদীর স্রোতের মত বয়ে চলেছে। কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুমিয়ে একটা স্বপ্ন দেখলাম। ঠিক এই খানে, এই জায়গাতেই সৃষ্টির কোলে মাথা রেখে আমি শুয়ে আছি। আর ওই যে দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির অপার্থিব সুর, তাই শুনছিলাম। ইশ, স্বপ্ন যদি সত্যি হত! এখনো সেই অপার্থিব সুর আমি শুনতে পাচ্ছি। ওই সুর কখনো থামবে না। ওই সুর যে সৃষ্টির অস্তিত্ব বহন করে। আমার ভালোবাসাকে বহন করে...